রাজশাহীর বাঘা থানায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক হয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সাঈদ জুমির সন্ত্রাসী বাহিনীর তিন সদস্য।আটক হওয়া ব্যাক্তিরা দীর্ঘদিন যাবৎ সাঈদ জুমির সন্ত্রাসী বাহিনীর হয়ে পদ্মায় চলাচলকারী মালবাহী কার্গো, মাছ ধরা ট্রলার ও চরাঞ্চলের দোকানপাটে চাঁদাবাজি করে আসছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে। ১৫ আগস্ট রোববার সকালে এলাকাবাসীর সহায়তায় দুটি দেশি পিস্তল, একটি বিদেশি শটগান এবং ৩ রাউন্ড গুলিসহ ওই ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। বাঘা’র লক্ষীনগর মোল্লাপাড়া চর এলাকা থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।
আটক হওয়া দস্যুরা হলেন,কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সাঈদ জুমির সন্ত্রাসী বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ফিলিপনগরের গোলাবাড়িয়া গ্রামের বাবু প্রামানিকের ছেলে মিঠন আলী (২১),এনামুল হকের ছেলে তুহিন আলী (২২) ও ভাংগা গ্রামের মৃত ছলেমান হোসেনের ছেলে মোমিন হোসেন (২৩)।
এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন,সাঈদ জুমির সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য মিঠুন,তুহিন, মোমিন দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করতো। বিষয়টি আমাকে তারা বেশ কিছু দিন থেকে জানিয়েও আসছিল।
বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন,স্থানীয়দের সহায়তায় চাঁদাবাজি করা অবস্থায় অস্ত্রসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের নামের অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দৌলতপুরের জলদস্যু বাহিনীর দস্যুতার কারনে আশপাশের ভেড়ামারা,বাঘা সহ দৌলতপুর উপজেলার ব্যবসায়ী এবং জেলেদের অসহনীয় ভোগান্তির সম্মুখীন হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে সশস্ত্র জলদস্যু বাহিনীর বেপরোয়া হয়ে ওঠার গল্প। দিনে লাখ টাকা চাঁদাবাজি,খুন,ডাকাতি,আক্রমণ,মাদক আর অস্ত্রবাজির রামরাজত্বে ব্যস্ত থাকতো জরদস্যু বাহিনী ।